পুলিশ-নৌ ডাকাতদের গোলাগুলি
১২ দিন পর শনিবার গুয়াগাছিয়ায় পুলিশ
ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আহমেদ স্বপ্নীল
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে পুলিশ ও নৌ ডাকাতদের গোলাগুলির ঘটনার ১২ দিনের মাথায় আজ শনিবার মুন্সীগঞ্জপর গজারিয়া উপজেলার নদী বেষ্টিত গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে স্থাপিত "অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প" পরিদর্শন করবেন ল স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব:)।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ও পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ শামসুল আলম সরকারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগন
জানা গেছে, জেলা সদর ও গজারিয়া উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও নদী বেষ্টিত গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন ধরে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীসহ দাগী অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়ে পড়ে। নয়ন, পিয়াস, রিপন ও লালু বাহিনীর ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ কথা বলতে চাইলে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হতো। তাদের ভয়ে ইউনিয়নটির শতাধিক পরিবার গ্রাম ছাড়া হয়েছিল। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে গত ২২ আগষ্ট গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে যুক্ত করে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হয়। আর পুলিশ ক্যাম্প চালু হওয়ার পর
একদিকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষ জন গ্রামে ফিরতে শুরু করে এবং অপরদিকে পুলিশের তৎপরতায় নৌ ডাকাতদের কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ে।
এর ফলে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ করার লক্ষ্যে গত ২৫ আগষ্ট নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনী পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে আত্নরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি বেঁধে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ ক্যাম্পের এসআই (নিরস্ত্র) সৈয়দ আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনকে আসামী করে গজারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন ২৬ আগষ্ট যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়।