জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তা ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে তিন তারকা লেফট্যানেন্ট জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ২০০১ সালে বিডিআর-বিএসএফ সংঘর্ষের সময় বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমান বিজিবি) প্রধান ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ছিলেন ও একই সময়ে তাকে কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে গিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বলার কৃতিত্ব দেওয়া হয়। যে ঘটনার ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতায় আসে।
প্রারম্ভিক জীবন
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর জন্ম ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ এবং ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। একজন গানার হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কমান্ডিং টু আর্টিলারি ব্রিগেডস এবং ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
কর্মজীবন
লেফট্যানেন্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীর প্রশিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি আন্তবাহিনী নির্বাচন পর্ষদে গ্রুপ টেস্টিং অফিসার (জিটিও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, রুয়ান্ডা এবং জর্জিয়াতে জাতিসংঘের সামরিক পর্যেবক্ষক ও স্টাফ হিসাবে তিনটি ভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে কাজ করার অনন্য সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এবং স্টাফ কলেজে এবং ঢাকা ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের স্নাতক।
২০০৯ সালের বি,ডি,আর বিদ্রোহ
২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে তার উত্তরাধিকারী মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী নাজনীন হোসেন শাকিল শহীদ হয়েছেন। কিউএমজি হিসাবে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেন। ৩ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সূত্র-উইকিপিডিয়া